ওয়েবসাইটে কিভাবে ট্র্যাফিক বাড়াবেন। জেনে নিন ওয়েবসাইটে ট্র্যাফিক বাড়ানোর 54টি কার্যকরী টিপস।

 

how-to-increase-website-traffic-organically-in-bangla


আপনি কি আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক নিয়ে খুব চিন্তিত? আপনি হয়তো প্রায় সকল পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন কিন্তু কোন লাভ হচ্ছে না।


চিন্তা করবেন না… আজকের পর্বে আমি আপনাদের বলব কিভাবে ওয়েবসাইট ট্রাফিক বাড়ানো যায়।


একটি ব্লগ তৈরি করা খুবই সহজ কিন্তু এতে ট্রাফিক আনা খুবই কঠিন কাজ। তবে চেষ্টা করলে এ কাজটি তেমন কঠিন নয়। মানসম্পন্ন কন্টেন্ট, সঠিক এসইও, কন্টেন্ট মার্কেটিং, ব্যাকলিংক, প্রোমোশন ইত্যাদি করার মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার ব্লগ এবং ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়াতে পারেন।


আরও পড়ুনঃ

SEO Trends 2022 : Google র‍্যাঙ্কিং-এ বেশি প্রভাব ফেলে এমন 5টি ফ্যাক্টর

ডোমেইন অথরিটি কি? কিভাবে ডোমেইন অথরিটি বাড়ানো যায়?

SERP কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে?


এই আর্টিকেল-এ আমি আমার ব্লগের ট্র্যাফিক বাড়ানোর জন্য যে সমস্ত কৌশলগুলি ব্যবহার করে থাকি সেগুলি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।


কেন ওয়েবসাইট ট্রাফিক গুরুত্বপূর্ণ

ওয়েবসাইটের বৃদ্ধি ও জনপ্রিয়তার জন্য ট্রাফিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সহজ কথায় ট্রাফিক একটি ওয়েবসাইটের জন্য পেট্রোলের মতো। আপনার ট্রাফিক বাড়ার সাথে সাথে আপনার সাইটের ব্র্যান্ড ভ্যালুও বাড়ে।

1. এটি ভিজিটর সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে (অর্থাৎ ভিজিটর কী পড়তে চায়) এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।

2. আপনার এসইও এবং সার্চ ইঞ্জিনের বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।

3. এটি কনভার্সেশন হার বৃদ্ধি করে এবং আরও গ্রাহক পেতে সাহায্য করে।

4. অ্যাডসেন্স থেকে ভালো আয় করতে।

এই সুবিধাগুলো পাওয়ার জন্য আপনার ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত ট্রাফিক থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


সব ওয়েবসাইটের ট্রাফিক কি একই

উত্তর হল- না

ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বিভিন্ন উৎস, অবস্থান এবং ডিভাইস থেকে আসে। এমনকি বিভিন্ন ব্রাউজার থেকেও।

 

উদাহরণ স্বরূপ,

যদি লোকেরা তাদের ব্রাউজারে আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা টাইপ করে ভিজিট করে এটিকে Direct ট্রাফিক বলা হয়। কারণ এই লোকেরা সরাসরি আপনার ওয়েবসাইটে চলে গেছে।


কিন্তু আপনি যদি গুগল সার্চ থেকে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক পান তাহলে তাদেরকে বলা হবে অর্গানিক ট্রাফিক

 

ওয়েবসাইট ট্র্যাফিকের জন্য 5টি সোর্স রয়েছে:

1. Direct Traffic

2. Organic search Traffic

3. Social Traffic

4. Referral Traffic

5. Other Traffic


ডাইরেক্ট ট্রাফিক (Direct Traffic) : যখন ভিজিটররা ওয়েবসাইট দেখার জন্য ওয়েবসাইট এড্রেস টাইপ করে তখন সে ট্রাফিককে ডাইরেক্ট ট্রাফিক বলে।

 

অর্গানিক সার্চ (Organic search) : এগুলো সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে আপনার সাইটে আসা ট্রাফিক। এ ধরনের ট্রাফিকগুলো এসইওতে সেরা ট্রাফিক হিসাবে বিবেচিত হয়।

 

সোশ্যাল ট্রাফিক (Social Traffic) : সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে আসা ট্র্যাফিককে সোশ্যাল ট্র্যাফিক বলা হয়।

 

রেফারেল ট্রাফিক (Referral Traffic) : এটি একটি ওয়েবসাইট থেকে অন্য সাইটে ভিজিটর পাঠায়। যখন একজন ভিজিটর হাইপারলিংকে ক্লিক করে একটি নতুন ওয়েবসাইটে যায় তখন নতুন ওয়েবসাইটের জন্য এটি রেফারেল ট্রাফিক বিবেচনা করা হয়।

 

অন্যান্য ট্রাফিক (Other Traffic) : যে সকল ট্র্যাফিক Google-এর ডিফল্ট সিস্টেম দ্বারা স্বীকৃত নয় সেগুলোকে Google Analytics-এ  অন্যান্য ট্র্যাফিক হিসাবে দেখানো হয়।

 

তাহলে চলুন শুরু করা যাক– কিভাবে ওয়েবসাইট ট্রাফিক বাড়ানো যায়…

 

ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়ানোর উপায়সমূহঃ

আপনার ওয়েবসাইটের ট্র্যাফিক বাড়ানোর জন্য আপনাকে কপিরাইটিং এবং এসইওতে বিশেষজ্ঞ হতে হবে না। আপনাকে শুধু কিছু বিশেষ দিক খেয়াল রাখতে হবে। যা আমি নিচে উল্লেখ করেছি।

 

1. মানসম্পন্ন কন্টেন্ট প্রকাশ করুন

এটি ওয়েবসাইট ট্রাফিক বাড়ানোর প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। 

কারণ হলো…

যদি আপনার কন্টেন্ট ভিজিটরের কাজে না লাগে এবং ভিজিটরের সমস্যা সমাধান করতে না পারে তাহলে সে ভিজিটর আর আপনার সাইট ভিজিট করতে পছন্দ করবে না।

এছাড়াও Google মানসম্পন্ন কন্টেন্ট এর উপর বেশি ফোকাস করে এবং সেগুলিকে সার্চ ইঞ্জিনে টপ র‌্যাঙ্কিং এ স্থান দেয়। যাইহোক, যখন Google একটি কন্টেন্টকে র‌্যাঙ্ক করে তখন এতে বিভিন্ন র‌্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর ব্যবহার করে। তাই কন্টেন্ট এর মান এখনও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


আপনি যদি আপনার সাইটে নিম্নমানের কন্টেন্ট / ছোট কন্টেন্ট প্রকাশ করেন তাহলে গুগল আপনার সাইটের র‌্যাঙ্কিং কমিয়ে দেবে।


আরও পড়ুনঃ

ব্ল্যাক হ্যাট এসইও এবং হোয়াইট হ্যাট এসইও কি?


আপনার সাইটে যদি অনেক বেশী কম মানের কন্টেন্ট / ছোট কন্টেন্ট থাকে তাহলে গুগল আপনার সাইটকে সার্চ পেনাল্টির দিকে নিয়ে যেতে পারে। আর তা হলে আপনার কন্টেন্ট সার্চ ইঞ্জিনে প্রদর্শিত হবে না।

 

2. আপনার কন্টেন্টের দৈর্ঘ্য

আপনার কন্টেন্টের দৈর্ঘ্য সার্চ ইঞ্জিনের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ কন্টেন্ট সার্চ ইঞ্জিনে ভালো (র‍্যাঙ্ক করা) পারফর্ম করে এবং এগুলি ছোট কন্টেন্টের চেয়ে বেশি ট্রাফিক পায়। এজন্য সবসময় বিস্তারিত, উচ্চ মানের, দীর্ঘ পোস্ট লেখার চেষ্টা করুন।

how to increase website traffic organically in bangla 1.jpg


তবে কন্টেন্টের দৈর্ঘ্য বাড়ানোর জন্য অবশ্যই এতে বাজে/অপ্রাসঙ্গিক কথা লিখবেন না। কারণ পাঠক যখন আপনার কন্টেন্ট পড়বে তখন অপ্রাসঙ্গিক লেখা দেখলে সে আর আপনার সাইটে আসতে চাইবে না।


আপনার টপিকের প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোনো পোস্ট লিখতে হবে। তবে যেকোনো পোস্ট কমপক্ষে 500 শব্দের হওয়া ভালো।

 

3. কীওয়ার্ড রিসার্চ

কীওয়ার্ড রিসার্চ ওয়েবসাইট ট্রাফিক বাড়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি SEO এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে ধরা হয়।


আপনি নিয়মিত আপনার ব্লগে ইউনিক এবং খুব দরকারী আর্টিকেল প্রকাশ করেন। কিন্তু আর্টিকেল এর জন্য কীওয়ার্ড রিসার্চ করেন না। তাহলে আপনার সাইটটি গুগল সার্চের ফলাফলে র‌্যাঙ্ক করবে না এবং আপনার সাইট অর্গানিক ট্রাফিক পেতে সক্ষম হবে না


কীওয়ার্ড রিসার্চ তেমন কোনো কঠিন কাজ নয়। অনলাইন মার্কেটে অনেকগুলি দুর্দান্ত টুলস এবং ওয়েবসাইট রয়েছে যা আপনাকে আপনার নিবন্ধের সাথে সম্পর্কিত সেরা কীওয়ার্ডগুলি খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারে।


সর্বদা লো-কম্পেটিশন এবং বেশী সার্চ হয় এমন কীওয়ার্ড নির্বাচন করুন। এর জন্য আপনি Google AdWords Keyword Planner টুলটি ব্যবহার করতে পারেন।

 

4. লং টেইল কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন

3 টির বেশি শব্দ নিয়ে গঠিত কীওয়ার্ডকে বলা হয় ‘লং টেইল কীওয়ার্ড’। লং টেইল কীওয়ার্ড সার্চ ইঞ্জিনকে পোস্টের বিষয়বস্তু বুঝতে সাহায্য করে।


অতএব, লং টেইল কীওয়ার্ড আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এ ধরনের কিওয়ার্ডগুলো বেশী টার্গেটেড হয়ে থাকে। এছাড়াও, এটি আপনার সাইটে অর্গানিক ট্রাফিক বাড়াতে সাহায্য করে।

 

শর্ট কীওয়ার্ড দিয়ে সার্চ ইঞ্জিনে খুব কম সার্চ করা হয়। কারণ সবাই জানে যে সার্চ ইঞ্জিন আমাদের সঠিক ফলাফল দেবে না। আর আপনি সঠিক ফলাফল পাওয়ার জন্য অবশ্যই সম্পূর্ণ প্রশ্ন টাইপ করে গুগলে সার্চ করবেন।  

 

লং টেইল কীওয়ার্ড ব্যবহার করার সুবিধা

1. কম্পিটিশন কম হয়। 

2. Conversion rates ভাল হয়।

3. সার্চ রেজাল্টে ভাল র‌্যাঙ্ক করে।

4. সার্চ ইঞ্জিন থেকে অধিক ট্রাফিক পেতে সাহায্য করে।


আপনি লং টেইল কীওয়ার্ডগুলির জন্য নিম্নলিখিত টুলসগুলি ব্যবহার করতে পারেন: 

1. Answer the Public - এটি Google এবং Bing থেকে কীওয়ার্ড রিসার্চ করে আপনার জন্য সবথেকে ভাল হবে এমন কিওয়ার্ড এর লিস্ট প্রদর্শন করে। এ টুলটি ব্যবহার করে আপনি সহজেই লং টেইল কীওয়ার্ড খুঁজে পেতে পারেন। এটি আপনার সার্চ করা কীওয়ার্ডগুলির জন্য রিলেটেড কীওয়ার্ডগুলিও প্রদর্শন করে।


2. Google Autocomplete Tool - এটি আপনাকে যেকোন নিশ-এর জন্য লং-টেইল কীওয়ার্ড খুঁজতে সাহায্য করে। এখানে আপনাকে আপনার প্রধান কীওয়ার্ড টাইপ করতে হবে। এটি আপনাকে লং-টেইল কীওয়ার্ডের একটি তালিকা দেখাবে। আপনাকে কেবল এটি থেকে সেরা লং-টেইল কীওয়ার্ডগুলি বেছে নিতে হবে।


3. Google Keyword Planner - গুগল কীওয়ার্ড প্ল্যানার হল সেরা এবং বিনামূল্যের কীওয়ার্ড রিসার্চ টুল যা গুগল ডেভেলপ করেছে। এটির সাহায্যে, আপনি সহজেই যে কোনও ধরণের কীওয়ার্ড খুঁজে পেতে পারেন তা লং টেইল কীওয়ার্ড বা অন্য কিছু। এই Google কীওয়ার্ড প্ল্যানার টুল ব্যবহার করে, আপনি কীওয়ার্ড প্রতিযোগিতা, মাসিক অনুসন্ধান, CPC এবং আরও অনেক কিছু খুঁজে পেতে পারেন।

4. Soovle - এটি একটি খুব জনপ্রিয় টুল যা লং টেইল কীওয়ার্ড খুঁজে পেতে সাহায্য করে।


5. Google সম্পর্কিত কীওয়ার্ড অনুসন্ধান - আপনি যদি একটি ফ্রি ব্যবহার করা যায় এমন লং টেইল কীওয়ার্ড টুল খুঁজে থাকেন তাহলে এই কৌশলটি আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে। আপনি যখন গুগলে কিছু সার্চ করেন তখন সার্চ রেজাল্টের পরে আপনি নিচে কিছু কীওয়ার্ড দেখতে পান যেগুলো লং টেইল কীওয়ার্ড। আপনি আপনার নিবন্ধে লং টেইল কীওয়ার্ড হিসাবে তাদের ব্যবহার করতে পারেন।

how to increase website traffic organically with related keyword.jpg



6. Ubersuggest – Neilpatel দ্বারা ডেভেলপ করা হয়েছে, এটি একটি খুব ভালো এবং জনপ্রিয় কীওয়ার্ড সাজেশন টুল। এই টুলের সাহায্যে, আপনি সহজেই আপনার ব্লগ পোস্টের জন্য ভাল লং টেইল কীওয়ার্ড পেতে পারেন এবং এটি ব্যবহার করাও সহজ।


5. আপনার সাইটের লোডিং গতি ঠিক করুন

যদি আপনার সাইট লোড হতে বেশি সময় নেয়, তাহলে Google সার্চ রেজাল্টে আপনার সাইট ভালোভাবে র‍্যাঙ্ক করবে না। কারণ গুগল র‍্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর অনুযায়ী পেজ স্পিডও হিসাব করা হয়। তাই আপনাকে এই বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে।


তাছাড় স্লো লোডিং সাইটে কোন ভিজিটর যেতে পছন্দ করেন না। তারা দ্রুত স্লো লোডিং সাইট থেকে চলে যায় এবং দ্বিতীয়বার সেই সাইটটিতে সহজে যান না। ভিজিটর দ্রুত বের হয়ে যাওয়ার কারণে সাইটের বাউন্স রেট বেড়ে যায়; যা গুগলের দৃষ্টিতে ভালো নয়।


দ্রুত লোডিং ওয়েবসাইট র‌্যাঙ্কিং এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উভয়কেই প্রভাবিত করে এবং সার্চের ফলাফলে ভালো অবস্থান করে।


ওয়েবসাইট লোডিং গতি উন্নত করার জন্য দ্রুত টিপস

1. PHP আপডেট রাখুন

2. ছবির সাইজ অপ্টিমাইজ করুন

3. শুধুমাত্র দরকারী প্লাগইন রাখুন

4. অপ্রয়োজনীয় মিডিয়া মুছুন

5. CSS এবং JS ফাইল ছোট করুন

6. একটি ভাল Catch প্লাগইন ব্যবহার করুন

7. রিডাইরেক্ট মিনিমাইজ করুন

8. ভালো ওয়েব হোস্টিং ব্যবহার করুন

9. ডাটাবেস অপ্টিমাইজ করুন

এগুলি ছাড়াও, নীচে কিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে যা আপনার সাইটের লোডিং গতিকে দ্রুত করতে পারে।


আরও পড়ুনঃ

গুগল অ্যাডসেন্স থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা আয় করা যায়?


 

6. SEO ফ্রেন্ডলি URL ব্যবহার করুন

SEO ফ্রেন্ডলি URL ও অনপেজ SEO এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি সার্চ ইঞ্জিনগুলিকে আপনার পোস্টটি কী সম্পর্কে বুঝতে সাহায্য করে৷ এছাড়াও আপনার URL ছোট এবং পাঠযোগ্য করার চেষ্টা করুন।


ওয়ার্ডপ্রেসের ডিফল্ট ইউআরএল স্ট্রাকচার এসইও ফ্রেন্ডলি নয় এবং এটি দেখতে নিম্নরূপ।

https://domain.com/?p=123

তবে চিন্তা করবেন না, আপনি সহজেই এটিকে SEO ফ্রেন্ডলি করতে পারেন। আপনাকে যা করতে হবে তা হল Settings >> Permalinks অপশনে ক্লিক করুন এবং " Post Name"  সিলেক্ট করুন ।

https://www.domain.com/sample-post/



আপনার সাইট খুব পুরানো হলে, এটি পরিবর্তন না করা ভালো। কেননা আপনার সাইটে যতগুলো শেয়ার URL আছে সেগুলোতে 404 ত্রুটি দেখাতে শুরু করবে।

 

7. নতুন আর্টিকেল এর সাথে পুরানো আর্টিকেল লিঙ্ক করুন

আপনি যখন আপনার নতুন আর্টিকেল এর সাথে পুরানো আর্টিকেলটি লিঙ্ক করবেন তখন তাকে ইন্টারনাল লিঙ্কিং বলা হয় ।

এর অনেক সুবিধা রয়েছে:

1. লিংক জুস পাস

2. পেজ ভিউ বৃদ্ধি পায়।

3. বাউন্স রেট কমায়।

4. আপনার বিষয়বস্তু আরও তথ্যপূর্ণ এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি করে তোলে।

5. Google কে আপনার সাইট ক্রল করতে সাহায্য করে।

6. আপনার ওয়েবসাইটের এসইও ইমপ্রুভ হয়।

 

8. High Quality ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করুন

ব্যাকলিঙ্ক হল একটি খুব পুরানো Google র‌্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর। যা একটি বিষয়বস্তুকে Google এর ১ম পেজ-এ র‌্যাঙ্ক করতে ব্যবহার করা হয়। এটি আপনার সাইটের ডোমেইন অটরিটি, ওয়েবসাইট ট্রাফিক এবং ওয়েবসাইট র‌্যাঙ্কিং বাড়াতে সাহায্য করে।


কিন্তু bad/spammy/buy বা নিম্নমানের ব্যাকলিংক আপনার ওয়েবসাইটের র‌্যাঙ্কিংকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এমন ব্যাকলিঙ্ক থাকলে গুগল সার্চ রেজাল্টে আপনার সাইটটি ভালো র‍্যাঙ্ক পাবে না। অর্থাৎ আপনার কন্টেন্ট সার্চ রেজাল্টের দশম পৃষ্ঠায় স্থান পাবে আবার সার্চ রেজাল্টেও নাও থাকতে পারে।


আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়াতে চান তবে সর্বদা উচ্চ মানের ব্যাকলিংক তৈরি করার চেষ্টা করুন। 100টি ভালো মানের ব্যাকলিংক 1000টি নিম্নমানের ব্যাকলিংকের সমান।


ব্যাকলিংক আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিকের ক্ষেত্রে একটি বড় পার্থক্য আনতে পারে।

 

9. সাইটটিকে HTTP থেকে HTTPS এ সরান৷

Google এখন আরও নিরাপদ ওয়েব চায়। এই কারণেই গুগল র‌্যাঙ্কিং ফ্যাক্টরগুলির মধ্যে একটি হিসাবে HTTPS ব্যবহার করছে। যে সাইটগুলিতে HTTPS সক্রিয় রয়েছে সেগুলি গুগল অনুসন্ধান ফলাফলে আরও ভাল র‌্যাঙ্ক পাচ্ছে।


ভালো র‍্যাঙ্ক = আরো ট্রাফিক


গুগল ক্রোম সহ প্রায় সকল ব্রাউজার অনিরাপদ সাইটগুলিতে নোটিফিকেশন দেখাচ্ছে। যেগুলি এখনও HTTP ব্যবহার করছে। আর যখন কোনো ভিজিটর এমন অনিরাপদ বার্তা দেখে তখনই তিনি সেই সাইট থেকে বেরিয়ে যান। ফলে ওয়েবসাইটের মালিক সেই ট্রাফিক হারান।


আপনার সাইট যদি এখনও HTTP থেকে থাকে তাহলে অবিলম্বে এটিকে HTTPS-এ পরিবর্তন করে নিন।


 

10. শিরোনাম এবং মেটা ডেসক্রিপশন অপ্টিমাইজ করুন

আপনার ব্লগ পোস্ট শিরোনাম সবসময় আকর্ষণীয় এবং ইউনিক লিখতে চেষ্টা করুন। কারণ SERPs-এ এটি ভিজিটরের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।


আপনার নিবন্ধ যতই ভালো হোক না কেন আপনার শিরোনাম যদি ভিজিটরের পছন্দ না হয় তাহলে তারা আপনার কন্টেন্ট এর উপর ক্লিক করবে না। তাই কন্টেন্ট এর শিরোনামের উপর আপনাকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।


শিরোনামের জন্য 50-60 অক্ষর ব্যবহার করুন। এর অধিক অক্ষর ব্যবহার করলে  এটি সার্চ রেজাল্টে সম্পূর্ণরূপে প্রদর্শিত হবে না।


এছাড়াও পোস্টের শিরোনামের শুরুতে আপনার প্রধান কীওয়ার্ড যোগ করুন। এটি আপনাকে সার্চ রেজাল্টে ভালো র‍্যাঙ্ক পেতে সাহায্য করবে। কিন্তু একটা কথা মাথায় রাখবেন, আপনার কীওয়ার্ড যেন কম-কম্পিটিশন হয় এবং মানুষ সেই কীওয়ার্ডের জন্য সার্চ করে।


মেটা ডেসক্রিপশন হল সেই টেক্সট যা সার্চ ফলাফলে শিরোনামের নিচে প্রদর্শিত হয়। এটি আপনার কন্টেন্ট এ ক্লিক থ্রু রেট (CTR) বাড়াতে সাহায্য করে।


মেটা ডেসক্রিপশনেও আপনার প্রধান কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন। Google সাধারণত মেটা ডেসক্রিপশনের জন্য 150-160 অক্ষর লেখার অনুমতি দেয়।

 

11. কীওয়ার্ড স্টাফিং করবেন না

কন্টেন্ট লেখার সময় আপনি যদি তাতে অনেক বেশী অথবা জোর করে কীওয়ার্ড ব্যবহার করেন তবে তাকে কীওয়ার্ড স্টাফিং বলা হয়। এটি Readability ক্ষেত্রে পাঠকের উপর খারাপ ইউজার অভিজ্ঞতা তৈরি করে এবং Google এটি মোটেও পছন্দ করে না।

 

আপনি যদি মনে করেন যে পেইজে বেশী কীওয়ার্ড পূরণ করলে আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়বে, তাহলে আপনি সম্পূর্ণ ভুল ভাবছেন। বরং এটি আপনার সাইটে বিপরীত প্রভাব ফেলবে। এই কৌশলটি সাইটটিকে সার্চ পেনাল্টির দিকে নিয়েও যেতে পারে।

 

12. আপনার সাইট মোবাইল ফ্রেন্ডলি করুন

বর্তমানে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি সম্পূর্ণরূপে ডেস্কটপ সার্চ এর উপর আধিপত্য বিস্তার করেছে। এই কারণেই Google মোবাইল ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করতে মোবাইল ফ্রেন্ডলিকে র‌্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর হিসেবে ব্যবহার করছে।


আপনার সাইট যদি মোবাইল ফ্রেন্ডলি না হয় তাহলে গুগল মোবাইল সার্চের জন্য আপনার সাইটের র‌্যাঙ্কিং কমিয়ে দেবে। ফলে আপনার সাইট গুগল সার্চ রেজাল্টে টপ র‍্যাঙ্ক করতে পারবে না এবং আপনি আপনার সাইটের জন্য অনেক ট্রাফিক হারাবেন।


আপনার সাইট মোবাইল বান্ধব কিনা তা পরীক্ষা করতে, আপনি Google দ্বারা তৈরি মোবাইল টেস্টিং টুল ব্যবহার করতে পারেন ৷ আপনার সাইট যদি মোবাইল ফ্রেন্ডলি না হয়, তাহলে আপনাকে আপনার সাইটে একটি রেসপনসিভ ওয়ার্ডপ্রেস থিম ইনস্টল করতে হবে।

 

13. আপনার সাইটের ছবি অপ্টিমাইজ করুন

আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা ছবিগুলি সাইটের ট্রাফিক বাড়াতে অনেক সাহায্য করে। তাই আপনার সাইটের প্রতিটি ছবির জন্য সঠিক নাম এবং ALT ট্যাগ ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে ইমেজ সার্চ থেকে ভালো ট্রাফিক পেতে সাহায্য করবে।


আরও পড়ুনঃ

Google Adsense CPC এবং CTR বাড়ানোর 7 টি প্রমাণিত টিপস


এছাড়াও, আপনি যদি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে অনেকগুলি ইমেজ ব্যবহার করেন তবে তাদের সাইজ পরিবর্তন করা এবং সংকুচিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার ছবির আকার হ্রাস করে এবং আপনার সাইট লোডিং সময় কমাতে সাহায্য করে।


14. প্রথম 100টি শব্দে আপনার প্রধান কীওয়ার্ড লিখুন

নিবন্ধের প্রথম 100 থেকে 150 শব্দের মধ্যে একবার আপনার প্রধান কীওয়ার্ড/ফোকাস কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন। এটি Google কে বুঝতে সাহায্য করে যে আপনার কন্টেন্ট কী বিষয়ের।


এছাড়াও, আপনার সাইটের প্রথম কয়েকটি অনুচ্ছেদে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট লিঙ্ক করুন। এটি আপনার কন্টেন্টকে আরও বেশি SEO ফ্রেন্ডলি করে তোলে এবং সার্চ রেজাল্টে আপনার কন্টেন্ট এর শীর্ষ স্থান পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।

 

15. সাইটের Visibility Settings পরীক্ষা করুন৷

ওয়ার্ডপ্রেস এ একটি built-in Search Engine Visibility সেটিং থাকে। যা সার্চ ইঞ্জিন বটগুলিকে আপনার ওয়েবসাইটকে ক্রল এবং ইন্ডেক্স করা থেকে বাধা দেয়। আপনি ভুল করে এই বিকল্পটি চেক করলে সার্চ ইঞ্জিন আপনার সাইটের ইন্ডেক্সিং এবং ক্রল করা বন্ধ করে দেবে। এতে আপনার সাইট সার্চ রেজাল্টে আসবে না।


এটি চেক করতে আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে লগ ইন করুন এবং Settings >> Rdading পৃষ্ঠাতে যান এবং Search Engine Visibility বিকল্পটি আনচেক করুন।

 

16. Robots.txt ফাইল চেক করুন

Robots.txt হল একটি ছোট টেক্সট ফাইল যা আপনার সাইটের রুট ফোল্ডারে থাকে। এটি সার্চ ইঞ্জিন বটগুলিকে আপনার সাইটের নির্দিষ্ট ডিরেক্টরি বা পৃষ্ঠাগুলি ক্রল এবং ইন্ডেক্স করা থেকে বাধা দেয়৷


এটি কাস্টমাইজ করে আপনি আপনার সাইটের এসইও এবং র‌্যাঙ্কিং উভয়ই উন্নত করতে পারেন। কিন্তু এর মধ্যে একটি ছোট ভুল আপনার সাইটের র‍্যাঙ্কিংয়ের অনেক ক্ষতি হতে পারে।


 

17. নিয়মিত নতুন পোস্ট প্রকাশ করুন

গুগল সেইসব ব্লগকে বেশি গুরুত্ব দেয় যারা নিয়মিত পোস্ট প্রকাশ করে। এটি আপনার র‍্যাঙ্কিং এবং ব্লগের পাঠক দুটোই বাড়ায়। তবে আপনার কন্টেন্ট তথ্যপূর্ণ এবং পাঠকের জন্য দরকারী/প্রয়োজনীয় হতে হবে। পাঠকরা সেই ব্লগগুলি পড়তে পছন্দ করে যেগুলি প্রতিদিন নতুন এবং ইউনিক ধারণা নিয়ে কন্টেন্ট প্রকাশ করে।


আপনি যদি সপ্তাহে 4টি পোস্ট প্রকাশ করেন, কিন্তু পরের সপ্তাহে একটিও করলেন না। এক্ষেত্রে আপনার কৌশলটি প্রতি সপ্তাহে 2টি পোস্ট নিয়মিত প্রকাশ করার চেয়েও খারাপ।

 

18. ব্লগে ব্রোকেন লিঙ্কগুলি ঠিক করুন

ব্রোকেন লিঙ্ক (404 পাওয়া যায়নি) একটি ব্লগের র‌্যাঙ্কিং এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স উভয়কেই প্রভাবিত করে৷ যদি আপনার সাইটে অনেকগুলি ব্রোকেন লিঙ্ক থাকে তাহলে Google আপনার সাইটের ক্রলিং কমিয়ে দেবে। সার্চ ইঞ্জিন (গুগল) বুঝবে যে ওয়েবসাইটের মালিক সাইটটি ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করেন না।


এছাড়াও যখন একজন ভিজিটর এমন একটি সাইট ভিজিট করে যেখানে ব্রোকেন লিঙ্কের সংখ্যা অনেক বেশি তখন সে দ্বিতীয়বার সহজে সেই সাইটে যেতে পছন্দ করবে না।


ধরুন আপনি একটি সাইট ভিজিট করছেন এবং আপনি যখন কোনো লিঙ্কে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনি 404 নট ফাউন্ড এরর দেখতে পেলেন। আপনি কি আবার সেই সাইটটি দেখতে চান? বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে উত্তর হবে না। 


কিন্তু চিন্তা করবেন না WordPress.org-এর একটি বিনামূল্যের ব্রোকেন লিঙ্ক চেকার প্লাগইন রয়েছে যা আপনাকে আপনার ব্লগে ব্রোকেন অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক লিঙ্কগুলি ঠিক করতে সাহায্য করবে৷ এছাড়াও এই প্লাগইনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাঙা লিঙ্কগুলির জন্য 'nofollow' ট্যাগ সেট করে যাতে সার্চ ইঞ্জিনগুলি তাদের অনুসরণ না করে।

 

19. Google Webmaster Tools-এ ত্রুটিগুলি পরীক্ষা করুন৷

Google Webmaster Tools-এর সাহায্যে mobile issues, security issues এবং crawl errors এর মতো ত্রুটিগুলি নিয়মিত পরীক্ষা করুন৷ যদি আপনার সাইটে অনেক বেশি ত্রুটি থাকে তাহলে Google খুব ধীরে ধীরে আপনার সাইট ক্রল করবে। ক্রল প্রক্রিয়ার গতি বাড়াতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ত্রুটিগুলি ঠিক করুন।


Google Webmaster Tools-এ আসা নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যাগুলির বিশেষ যত্ন নিন। কারণ যখন Webmaster Tools আপনাকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যার জন্য অবহিত করে আপনি কিন্তু তা গুরুত্ব সহকারে নেন না। তখন Google আপনার সাইটের র‌্যাঙ্কিং কমিয়ে দেয়।


অতএব এটি আপনার সাইটে ট্রাফিক না পাওয়ার একটি কারণও হতে পারে।

 

20. অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক এবং অবিশ্বস্ত লিঙ্কগুলির জন্য Nofollow ট্যাগ সেট করুন

অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক এবং untrusted/spammy লিঙ্কগুলি আপনার সাইটের র‌্যাঙ্কিংকে অনেক ক্ষতি করে। আপনি যদি আপনার কন্টেন্ট এ অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক এবং untrusted লিঙ্ক যুক্ত করেন তাহলে ঐ লিংকে অবশ্যই rel = “nofollow” ট্যাগ সেট করুন।


এর জন্য আপনি Ultimate Nofollow প্লাগইন ব্যবহার করতে পারেন। এই প্লাগইনটি আপনাকে আপনার ব্লগে rel="nofollow" ট্যাগের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেতে সাহায্য করে এবং সার্চ ইঞ্জিন বটকে লিঙ্কটি 'অনুসরণ' না করতে নির্দেশ দিবে৷


এছাড়াও, আপনি যদি আপনার ব্লগের অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কগুলি পরিচালনা করতে একটি প্লাগইন ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনি সহজেই আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কগুলির জন্য নো-ফলো অ্যাট্রিবিউট সেট করতে পারবেন।

 

21. আপনার সাইটের DA বৃদ্ধি করুন

ডোমেইন অথরিটি (DA) হল Moz দ্বারা তৈরি একটি মেট্রিক। যা আপনার সাইটের খ্যাতি প্রতিফলিত করে। উচ্চতর ডোমেইন অথরিটির সাইটগুলি সার্চ ইঞ্জিনগুলিতে উচ্চতর স্থান পায় এবং আরও বেশী ট্র্যাফিক পায়।


আরও পড়ুনঃ

Google One কি? এবং এটি কিভাবে কাজ করে?


ডোমেইন অথরিটি 1 থেকে 100 এর স্কেলে নির্মিত। আপনি DA Moz-এর বিনামূল্যের টুল, Open Site Explorer ব্যবহার করে আপনার সাইটটি পরীক্ষা করতে পারেন।


ডোমেন অথরিটি বাড়ানোর জন্য দ্রুত টিপস,

1. মানসম্পন্ন কন্টেন্ট প্রকাশ করুন।

2. অন-পেজ এসইও - ডিএ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

3. Internal লিঙ্কিং।

4. High Quality ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করুন।

5. খারাপ লিঙ্ক করা থেকে বিরত থাকুন।

6. ধৈর্য ধরুন এবং আপনার ডোমেইনটি পুরানো হতে দিন।

 

22. শিরোনাম ট্যাগ

H1 ট্যাগ সার্চ ইঞ্জিনগুলিকে বুঝতে সাহায্য করে যে আপনার পৃষ্ঠাটি কী বিষয়ে এবং পরবর্তীতে আপনার সাইটের র‌্যাঙ্কিং বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু এর পর বাকি হেডিং ট্যাগগুলো আপনার সাইটের জন্য তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে না।

 

মার্কেটে অনেক ওয়ার্ডপ্রেস থিম পাওয়া যায়, যেগুলো টাইটেলের জন্য H1 ট্যাগ ব্যবহার করে না। আপনি যদি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য এই ধরনের কোনো থিম ব্যবহার করেন তাহলে আপনার শিরোনামের জন্য H1 ট্যাগ ব্যবহার করা উচিত। 


H1 ট্যাগ একবারের বেশি ব্যবহার করবেন না।


এগুলি ছাড়াও, হেডিং ট্যাগগুলি আপনাকে একটি পাঠযোগ্য ব্লগ পোস্ট তৈরি করতে সহায়তা করে। ধরুন আপনি একটি পোস্ট লিখেছেন যার দৈর্ঘ্য 4000-5000 শব্দ এবং তাতে যথাযথ হেডিং ট্যাগ ব্যবহার করা হয়নি। সেক্ষেত্রে পাঠকের পক্ষে সেই পোস্টটি পড়া কঠিন হবে।

 

23. পোস্ট ইউআরএল সংক্ষিপ্ত রাখুন

আপনার পোস্টের জন্য একটি ছোট এবং পঠনযোগ্য URL তৈরি করুন। দীর্ঘ URL সার্চ রেজাল্টে সম্পূর্ণরূপে প্রদর্শিত হয় না। এছাড়াও এগুলি দেখতে খারাপ দেখায় এবং দর্শকদের উপর খারাপ 'ছাপ' তৈরি করে।


সার্চ ইঞ্জিনগুলি (গুগল) ছোট URL পছন্দ করে এবং সেগুলি বর্ণনামূলকও হওয়া উচিত।

 

24. ভাল ওয়েব হোস্টিং কিনুন

আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়াতে একটি ভালো ওয়েব হোস্টিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি একটি ওয়েব হোস্টিং সিলেক্ট করতে ভুল করেন তবে এটি আপনার ওয়ার্ডপ্রেস এসইও এবং ট্রাফিক উভয়কেই প্রভাবিত করবে।


এ কারণে আপনার ওয়েবসাইটটি বেশিরভাগ সময় ডাউনটাইমে থাকবে এবং আপনার সাইটটি খুব ধীরে ধীরে লোড হবে।


 

25. SEO বন্ধুত্বপূর্ণ থিম ব্যবহার করুন

আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আনতে চান তাহলে একটি ভালো ওয়ার্ডপ্রেস থিম নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সব ওয়ার্ডপ্রেস থিম এসইও ফ্রেন্ডলি নয় এবং তাদের কোডিংও ভালো নয়।


আপনি যদি আপনার সাইটের জন্য ভুল থিম বেছে নেন তবে এটি আপনার পেইজ লোডিং স্পিড এবং SEO উভয়কেই প্রভাবিত করবে।


 

26. পোস্টটি প্রকাশ করার পরে, এটি সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার করুন৷

আজ প্রতিটি ব্যবহারকারী সোশ্যাল মিডিয়া সাইটের সাথে জড়িত। এমন একজন ব্যবহারকারী থাকবেন যিনি সোশ্যাল মিডিয়া সাইটটি ব্যবহার করেন না।


তাই আপনার পোস্টটি প্রকাশ করার পর Facebook, Twitter, LinkedIn এবং Pinterest এর মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলিতে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এই প্ল্যাটফর্মগুলি আপনার সাইটে প্রচুর ট্রাফিক আনতে সাহায্য করবে।

 

27. আপনার পোস্টের ভিতরে সামাজিক শেয়ার বাটন ব্যবহার করুন

আপনার প্রতিটি পোস্টের নীচে বা পোস্টের শুরুতে সামাজিক শেয়ার বাটনটি ব্যবহার করতে ভুলবেন না। যেন পাঠকরা সহজেই তাদের প্রিয় সামাজিক প্ল্যাটফর্মে আপনার পোস্ট শেয়ার করতে পারে। এই কৌশলটি আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর ট্রাফিকও তৈরি করতে সাহায্য করবে।


 

28. আপনার সাইট ডিজাইন পরিষ্কার এবং সরল রাখুন

সাইটের ডিজাইন ব্যবহারকারীর উপর একটি বিশাল ছাপ তৈরি করে। বাজারে অনেক ওয়ার্ডপ্রেস থিম আছে যেগুলো আপনার সাইটের জন্য Clean এবং Simple Design প্রদান করে। কিন্তু অনেক নতুন যারা তাদের সাইটকে এতটাই রঙিন করে তোলে যে তারা পাঠকের মনোযোগ বিভ্রান্ত করতে শুরু করে।


আরও পড়ুনঃ

ইন্টারনেট ব্যাংকিং কী? ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিং এর সুবিধা এবং অসুবিধা


খারাপ ডিজাইনের কারণে দর্শকের সংখ্যা কমে যায়। যেখানে একটি ভাল ডিজাইন সাইটে ভিজিটর সংখ্যা বাড়ায় এবং সাইটে আরো কন্টেন্ট খুঁজে পেতে সাহায্য করে।

 

29. সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে আপনার পুরানো নিবন্ধ শেয়ার করুন

আপনার পুরানো নিবন্ধগুলি নিয়মিত সামাজিক মিডিয়া সাইটগুলিতে শেয়ার করুন। এটি আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়াতে সাহায্য করে। উপরন্তু, আপনার নতুন ব্লগ পাঠক আপনার পুরানো পোস্ট সম্পর্কে জানতে পারে।


অটো শেয়ারিং এর জন্য আপনি বাফার বা রিভাইভ ওল্ড পোস্ট প্লাগইন ব্যবহার করতে পারেন। এই প্লাগইনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার পুরানো পোস্টগুলি সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে শেয়ার করবে।

 

30. প্রশ্নোত্তর ওয়েবসাইট যোগ দিন

প্রশ্নোত্তর ওয়েবসাইটগুলিও আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়ানোর একটি ভাল উপায় হতে পারে৷ এই সাইটগুলিতে সাইন ইন করার পরে শুধুমাত্র ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের জন্য আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক যোগ করবেন না। বরং বিস্তারিত উত্তর সহ একটি লিঙ্ক যোগ করুন।

এখানে কিছু সেরা প্রশ্নোত্তর ওয়েবসাইটগুলির একটি তালিকা রয়েছে,

Quora

Mind the book

Amazon Askville

Yahoo! Answers

Stack Overflow

LinkedIn Answers

Super User

Answers.com

 

31. আপনার ওয়েবসাইটের র‌্যাঙ্কিং কীওয়ার্ড ট্র্যাক করুন

আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে কন্টেন্ট প্রকাশ করার পর র‌্যাঙ্কিং কীওয়ার্ড চেক করাও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এর জন্য আপনি Google Search Console টুল ব্যবহার করতে পারেন। যা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এবং Google দ্বারা ডেভেলপকৃত।


এই টুলটি আপনাকে সহজেই আপনার সাইটের র‍্যাঙ্কিং কীওয়ার্ড খুঁজে বের করতে সাহায্য করে। পরবর্তী ধাপে আপনাকে আপনার প্রতিযোগীর ওয়েবসাইট নিরীক্ষণ করতে হবে। এর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে SEMrush এবং Ahrefs টুল। এই টুলগুলি আপনার প্রতিযোগীর ওয়েবসাইট সম্পর্কে বিস্তারিত অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।

 

32. আপনার ওয়েবসাইট ট্র্যাফিক এবং ব্যবহারকারীর ব্যস্ততা ট্র্যাক করুন

আপনি যখন আপনার ব্লগে কিছু ট্র্যাফিক পেতে শুরু করবেন তখন সেগুলি ট্র্যাক করার চেষ্টা করুন। সেই ট্র্যাফিকগুলো আপনার সাইটে কোথা থেকে আসছে? তারা আপনার ব্লগে কি পড়তে চান?


এই সমস্ত ডেটা বিশ্লেষণ করার পরে আপনি একটি ভাল পরিকল্পনা করতে পারেন এবং আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের জন্য তাদের প্রয়োজন অনুসারে কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন। এজন্য আপনি Google Analytics টুল ব্যবহার করতে পারেন।


এছাড়া ব্যবহারকারী যখন মন্তব্য বিভাগে কোনও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে থাকলে তার উপরও একটি সুন্দর এবং তথ্যপূর্ণ নিবন্ধ তৈরির চেষ্টা করুন। কারণ সেই ব্যবহারকারীর মতো আরও অনেক ব্যবহারকারী থাকবে যারা সেই প্রশ্নের জন্য নিবন্ধটি খুঁজবে।

 

33. আপনার পোস্টে ছবি যোগ করুন

1টি ছবি 100 শব্দের সমান। কিন্তু ছবি অবশ্যই আপনার কন্টেন্ট এর সাথে সম্পর্কিত হতে হবে। আপনি যখন আপনার নিবন্ধে ছবি যোগ করেন তখন এটি আপনার কন্টেন্টকে আরও আকর্ষণীয় এবং উপযোগী করে তোলে।


তবে একটা কথা মনে রাখবেন আপনি গুগল ইমেজ ব্যবহার করতে পারবেন না। এগুলি কপিরাইট সুরক্ষিত এবং পরে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে৷


আপনি আপনার ব্লগের জন্য বিনামূল্যের স্টক ইমেজ সাইটগুলি থেকে ছবি ডাউনলোড করতে পারেন (FreeDigitalPhotosMorgueFilePixabayPexels).

 

34. অন্যান্য শীর্ষ ব্লগে গেস্ট পোস্ট করুন

গেস্ট পোস্ট আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য একটি খুব কার্যকর উপায়। আপনি যখন অন্য শীর্ষ ব্লগে গেস্ট পোস্ট করবেন এবং সেই ব্লগের ভিজিটর যদি আপনার পোস্ট পছন্দ করে তখন সেই ভিজিটর আপনার ব্লগে আসবে। এতে আপনার ওয়েবসাইটে ভিউ বাড়বে। এবং একই সময়ে তিনি আপনার ব্লগের পাঠকও হতে পারে।


এছাড়াও আপনি গেস্ট পোস্টের মাধ্যমে ডু-ফলো ব্যাকলিংক পাবেন। যা আপনার সাইটের DA এবং র‌্যাঙ্কিং উভয়ই বৃদ্ধি করে।


তবে একটা কথা মনে রাখবেন যে ব্লগে আপনি গেস্ট পোস্ট করবেন সেটি আপনার ব্লগের সাথে সম্পর্কিত হতে হবে।


গেস্ট পোস্ট করার সময় নিচের বিষয়গুলো মাথায় রাখুন,

1. যে সাইটে গেস্ট পোস্ট করবেন সেখানে উচ্চ ডিএ এবং PA থাকতে হবে।

2. আপনার ব্লগের নিশ সম্পর্কিত ব্লগে গেস্ট পোস্ট।

3. জনপ্রিয় ব্লগে গেস্ট পোস্ট করুন।

 

35. অন্য ব্লগে নিয়মিত মন্তব্য করুন

এটি আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়ানোর একটি ভাল উপায়। আপনি যখন অন্য ব্লগে মন্তব্য করবেন তখন এমন অনেক ভিজিটর থাকে যারা আপনার মন্তব্যের মাধ্যমে আপনার সাইটে ভিজিট করে।


তবে আপনার মন্তব্য যথেষ্ট আকর্ষণীয় হতে হবে। আপনি যদি “Nice post”, “Very useful article” ইত্যাদির মতো মন্তব্য করেন,ৎ তাহলে কেউ আপনার মন্তব্যে মনোযোগ দেবে না এবং আপনার মন্তব্যের লিঙ্কে ক্লিকও করবে না। আর নিম্নমানের বা স্প্যামি সাইটগুলিতে কখনই মন্তব্য করবেন না। এটি আপনার সাইটের র‌্যাঙ্কিংয়ের ক্ষতি হতে পারে। আপনি অবশ্যই আপনার ব্লগের নিশ সম্পর্কিত ব্লগে মন্তব্য করার চেষ্টা করবেন।

 

36. নিয়মিত দর্শকের মন্তব্যের উত্তর দিন

দর্শকদের মন্তব্য উপেক্ষা করবেন না। সর্বদা তাদের প্রশ্নের উত্তর দিন। যেন তারা কোন সমস্যার মুখোমুখি হলে আপনার সাইট ভিজিট করে। এছাড়াও এটি ভিজিটর এবং ওয়েবসাইটের মালিকের মধ্যে একটি ভাল সংযোগ তৈরি করে।


এটি ছাড়াও আপনার পোস্টে যদি অনেক বেশি মন্তব্য থাকে তবে Google আপনার পোস্টটিকে ইউজার সহায়ক বলে মনে করে এবং অনুসন্ধান ফলাফলে আরও ভাল র‌্যাঙ্ক দিয়ে থাকে।


স্প্যাম মন্তব্য এড়িয়ে চলুন। যদি কেউ আপনার পোস্টে স্প্যাম মন্তব্য করে সেগুলি মুছে দিন।


আরও পড়ুনঃ

How to repeat YouTube videos automatically


 

37. আপনার কন্টেন্টের YouTube ভিডিও তৈরি করুন

গুগলের পর সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ প্লাটফর্ম ইউটিউব। অনেক ব্যবহারকারী আছেন যারা তাদের সমস্যার জন্য গুগল সার্চের পরিবর্তে ইউটিউবে সার্চ করেন।


তাই আপনি আপনার কন্টেন্ট এর একটি ইউটিউব ভিডিও তৈরি করুন এবং এটি ইউটিউবে আপলোড করুন। আপনার ভিডিওর বর্ণনায় ব্লগ পোস্টের একটি লিঙ্ক রাখুন। যেন ভিজিটর ভিডিওর বর্ণনায় দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করে আপনার ব্লগে যেতে পারেন।


এর সাথে আপনার আরেকটি সুবিধা আছে। আর তা হচ্ছে আপনি ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করেও অনেক টাকা আয় করতে পারেন।

 

38. আপনার ব্লগে ট্রেন্ডিং আর্টিকেল লিখুন

আপনার নিশ ব্লগে ট্রেন্ডিং আর্টিকেল এর কন্টেন্ট লিখুন। এটি আপনাকে বেশী করে ট্রাফিক পেতে সাহায্য করতে পারে।


যদি আপনার ব্লগের কন্টেন্টগুলি ট্রেন্ডিং আর্টিকেল হিসেবে Google এর প্রথম পৃষ্ঠায় স্থান পায় তাহলে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগটি সহজেই লক্ষ লক্ষ ট্রাফিক পেতে পারে।

ট্রেন্ডিং আর্টিকেলগুলি খুঁজে পেতে আপনি Google Trends ব্যবহার করতে পারেন।

 

39. পুরানো পোস্ট আপডেট করুন

নতুন তথ্য দিয়ে আপনার পুরানো পোস্ট আপডেট করুন। এটি আপনাকে সার্চ ইঞ্জিনে আরও ভাল র‌্যাঙ্ক দেবে। যারা তাদের ব্লগের কন্টেন্টগুলো নতুন তথ্য দিয়ে আপডেট করে রাখে সার্চ ইঞ্জিন তাদের ব্লগকে বেশি পছন্দ করে।


আপনি যখন আপনার বিষয়বস্তু আপডেট করবেন তখন চেষ্টা করবেন এতে যেন নতুন ছবি এবং ভিডিও যোগ করা যায়। এতে আপনার পুরানো পোস্ট নতুন হয়ে যাবে। পোস্টটি আপডেট করার পরে সার্চ ইঞ্জিনকে (গুগল) আবার ক্রল করতে বলুন।

 

40. ইমেল তালিকা তৈরি করুন

ইমেল মার্কেটিং সহজেই আপনার সাইটে 20-30% ট্রাফিক আনতে পারে। আপনি ইমেলের মাধ্যমে আপনার ব্লগ পোস্ট পড়ার জন্য ব্যবহারকারীদের আমন্ত্রণ জানাতে পারেন।


ব্যবহারকারীর ইমেইল সংগ্রহ করার জন্য আপনি আপনার ব্লগে একটি ভালো ইমেইল সাবস্ক্রিপশন বক্স যোগ করতে পারেন।

 

41. আপনার সাইটের জন্য একটি সাইটম্যাপ তৈরি করুন

সাইটম্যাপগুলি আপনার সাইটের ট্র্যাফিক বাড়ায় না কিন্তু সার্চ ইঞ্জিন বটগুলিকে আপনার ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু আরও ভালভাবে ক্রল করতে এবং সার্চ ইঞ্জিনে দ্রুত সূচী করতে সাহায্য করে। আপনি Yoast SEO বা Jetpack ব্যবহার করে সহজেই XML সাইটম্যাপ তৈরি করতে পারবেন।

 

42. Cache প্লাগইন ব্যবহার করুন

যেকোন ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের জন্য Cache প্লাগইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। Cache প্লাগইনের মূল লক্ষ্য হল সাইটের পৃষ্ঠার গতি কমিয়ে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করা। এটি আপনার সাইটকে অতি দ্রুত করে তোলে এবং আপনার সার্ভারের লোড কমিয়ে দেয়।


WordPress.org তে অনেক Cache প্লাগইন পাওয়া যায়। তবে W3 Total Cache হল তাদের মধ্যে সেরা প্লাগইন যাতে পেজ ক্যাশিং, ব্রাউজার ক্যাশিং, অবজেক্ট ক্যাশিং, ডাটাবেস ক্যাশিং এবং মিনিফিকেশনের মতো বৈশিষ্ট্য আছে। বিকল্পভাবে আপনি WP Super Cache প্লাগইনও ব্যবহার করতে পারেন ।

 

43. এসইও প্লাগইন ব্যবহার করুন

এসইও প্লাগইন আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটকে আরও বেশি এসইও ফ্রেন্ডলি করে তোলে। এটি আপনাকে ইন্ডেক্সিংয়ের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রনের সুবিধ দেয়। এটি ছাড়াও, আপনি আপনার কন্টেন্ট এর জন্য কাস্টম টাইটেল এবং মেটা ডেসক্রিপশন লেখার সুবিধা পাবেন।


ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের জন্য মার্কেটে অনেক এসইও প্লাগইন পাওয়া যায়। কিন্তু আমি আপনাকে Yoast SEO প্লাগইন ব্যবহারের সুপারিশ করব। এটি ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের জন্য একটি খুব জনপ্রিয় এবং সেরা এসইও প্লাগইন। এটি আপনাকে অনপেজ অপ্টিমাইজেশান বুঝতে সাহায্য করবে। অর্থাৎ অনপেজ অপ্টিমাইজেশানের জন্য আপনাকে পরামর্শ / নোটিফিকেশন প্রদান করবে।


আপনি নতুন ব্লগার হয়ে থাকলে ভালোভাবে কন্টেন্ট অপ্টিমাইজ করার জন্য এই প্লাগইনটি আপনার জন্য আদর্শ হতে পারে।


Yoast এসইও এর বৈশিষ্ট্য

1. আপনি SEO শিরোনাম এবং পোস্টের মেটা ডেসক্রিপশন পরিবর্তন করতে পারেন।

2. আর্টিকেল এর জন্য Focus keyword প্রদান করা যেতে পারে।

3. Sitemap তৈরি করার সুবিধা দেয়।

4. .htaccess এবং robots.txt ফাইল সম্পাদনা করতে পারেন।

5. আপনি Taxonomies (category and tags) এর জন্য SEO শিরোনাম এবং মেটা বিবরণ লিখতে পারেন।

6. [Premium] Redirect manager

7. [Premium] Automatic internal linking suggestions

8. [Premium] Synonyms & related keyphrases

9. [Premium] offers News SEO, Video SEO, Local SEO এবং WooCommerce SEO extensions

 

44. Noindex কে বিভাগ এবং ট্যাগ পৃষ্ঠাতে সেট করুন

আপনি যদি ক্যাটাগরি এবং ট্যাগ পেজগুলিকে সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স করেন তাহলে এই পৃষ্ঠাগুলি ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট এর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।


এটি আপনার ওয়েবসাইটের ট্র্যাফিক এবং র‌্যাঙ্কিং উভয়ই কমাতে পারে। এমনকি Google আপনার সাইটকে শাস্তি দিতে পারে।


 

45. Author Archives-কে নো-ইনডেক্স-এ সেট করুন

আপনি যদি একক-লেখক ব্লগের মালিক হন তাহলে Author Archives টি Disable করে রাখুন। কারণ Author Archives পৃষ্ঠায় থাকা বিষয়বস্তু আপনার হোমপেজেও প্রদর্শিত হবে এবং ডুপ্লিকেট বিষয়বস্তুর সমস্যা সৃষ্টি করবে।


এ কাজটি আপনি ওয়ার্ডপ্রেস এসইও প্লাগইন (Yoast SEO) ব্যবহার করে Author Page disable বা noindex করতে পারেন।

 

46. ​​একটি CDN ব্যবহার করুন

CDN আপনার সাইটের কর্মক্ষমতা উন্নত করে। এটি সার্ভারে আপনার সাইটের কন্টেন্টগুলোর একটি Cache সংস্করণ তৈরি করে এবং ব্যবহারকারীর অবস্থানের সবচেয়ে কাছের সার্ভারগুলির মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের কাছে Content পরিবেশন করে৷ এটি আপনার সার্ভার লোড হ্রাস করে এবং ওয়েবসাইট লোডিং গতি উন্নত করে।


আরও পড়ুনঃ

কিভাবে ছবি থেকে সরাসরি বাংলা অথবা ইংরেজি লেখা কপি করবেন?

 

47. আপনার শিরোনামে Modifiers শব্দ ব্যবহার করুন

2022”, “guide”, “best”, “checklist”, “review” এবং “fast” এর মত শব্দগুলোকে বলা হয় সংশোধক শব্দ। এগুলো আপনার শিরোনাম আকর্ষণীয় করার সাথে সাথে ব্যবহারকারীর উপরও একটি ভাল ছাপ ফেলে। আপনি যদি আপনার শিরোনামে এই শব্দগুলি ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার কন্টেন্টে ক্লিক করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

 

48. আপনার কন্টেন্টে এক্সটার্নাল লিঙ্ক ব্যবহার করুন

আপনি যখন আপনার কন্টেন্ট external সাইটের সাথে লিঙ্ক করবেন, তখন আপনাকে অনেক কিছুর যত্ন নিতে হবে। অর্থাৎ সে সাইটের কন্টেন্টটি আপনার সাইটের সাথে সম্পর্কিত বা দরকারী হওয়া উচিত হতে হবে, সে সাইটটি কখনও স্প্যামি হওয়া যাবে না, এর DA এবং PAও অবশ্যই ভাল হতে হবে ইত্যাদি।


এই কৌশলটি আপনার কন্টেন্টকে দর্শকদের জন্য আরও বেশি উপযোগী করে তোলে এবং এটি সার্চ ইঞ্জিনকেও আপনার কন্টেন্ট কী তা বুঝতে সাহায্য করে।

 

49. কন্টেন্টে Focus Keyword এর সাথে Related Keyword ব্যবহার করুন

অনপেজ এসইও অনুযায়ী কন্টেন্টে শুধুমাত্র Focus Keyword ব্যবহার করা ভালো নয়। Focus Keyword এর সাথে Related Keywordও ব্যবহার করুন। যাতে সার্চ ইঞ্জিন আপনার কন্টেন্টকে ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং প্রথম পৃষ্ঠায় র‌্যাঙ্ক করতে পারে।

 

50. কন্টেন্টে কীওয়ার্ডের ঘনত্ব (Keyword Density) বজায় রাখুন

যেকোনো পোস্টে কীওয়ার্ডের ঘনত্ব 1.5% - 2% হওয়া উচিত । আপনি যদি 700 শব্দের  একটি কন্টেন্টে আপনার ফোকাস কীওয়ার্ড বহুবার (10 বা 11 বার) ব্যবহার করেন, তা SEO অনুযায়ী এটি ভাল হবে না। কারণ গুগল এটিকে স্প্যাম সামগ্রী হিসাবে বিবেচিত করবে এবং আপনার কন্টেন্টকে কখনই Google-এ র‍্যাঙ্ক করবে না


বারবার ফোকাস/প্রধান কীওয়ার্ড ব্যবহার করার চেয়ে আপনার কন্টেন্টে related/LSI কীওয়ার্ডগুলি ব্যবহার করা ভাল।

 

51. Google অ্যালগরিদমগুলির সাথে আপ টু ডেট থাকুন৷

গুগল অ্যালগরিদমের সাথে আপডেট থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গুগলের অ্যালগরিদমগুলিতে মনোযোগ না দিয়ে আপনি ব্লগিংয়ে সাফল্য অর্জন করতে পারবেন না।


অনেক ব্লগার আছেন যাদের গুগল সার্চ থেকে প্রচুর ট্রাফিক পাওয়া ব্লগও গুগল অ্যালগরিদম আপডেটের কারণে তাদের ট্রাফিক উল্লেখযোগ্যভাবে হারিয়েছে।


এজন্য Google অ্যালগরিদমে নজর রাখা এবং নতুন অ্যালগরিদম দিয়ে ব্লগটি আপডেট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷

 

52. অনলাইনে সক্রিয় থাকুন

আপনার ওয়েবসাইট ব্লগের সাথে সম্পর্কিত অনলাইন গ্রুপ এবং ওয়েবসাইটগুলিতে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করুন। এটি আপনাকে বেশী ট্র্যাফিক পেতে সহায়তা করবে। ব্লগ এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলিতে মন্তব্য করুন এবং লোকেরা পোস্ট করছে এমন প্রশ্নের উত্তর দিন৷


আপনি যত বেশি সম্প্রদায়ের সাথে জড়িত থাকবেন, তত বেশি ব্র্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।


মন্তব্যে আপনার ওয়েবসাইটে একটি লিঙ্ক যোগ করবেন না। এটি স্প্যামি বলে মনে হয় এবং আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের খ্যাতি নষ্ট করতে পারে।

 

53. Google অনুসন্ধান বিজ্ঞাপন

একটি নির্দিষ্ট কীওয়ার্ডের জন্য সার্চ রেজাল্টের  শীর্ষে আপনার ওয়েবসাইটটি প্রদর্শিত হওয়ার জন্য আপনি অর্থপ্রদান করতে পারেন। যখন এই কীওয়ার্ডগুলি ব্যবহার করে কিছু সার্চ করা হয়, তখন Google সার্চ রেজাল্টে সেই কীওয়ার্ডগুলিতে ব্যবহারকারীর নিকট দেখায়।



গুগল সার্চ অ্যাডভার্টাইজিং সার্চ রেজাল্ট পেজে প্রথমে প্রদর্শিত হয়। এটি ওয়েবসাইটে আরও ট্র্যাফিক পাওয়ার একটি দুর্দান্ত উপায়।

 

54. সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞাপন

আপনি যদি নতুন টার্গেটেড শ্রোতাদের কাছে পৌঁছাতে চান তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞাপন অবশ্যই আবশ্যক৷ যদিও সকল সামাজিক নেটওয়ার্ক বিজ্ঞাপনের অপশন অফার করে থাকে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, আপনি তাদের সকলের উপর বিজ্ঞাপন দেবেন।


আপনি যখন সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞাপনের জন্য প্রস্তুত হবেন, তখন আপনাকে জানতে হবে কোন নেটওয়ার্কগুলি আপনার দর্শকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়৷

 

ওয়েবসাইট ট্রাফিক জেনারেটর টুল ব্যবহার করবেন না

আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের ট্র্যাফিক বাড়ানোর জন্য ট্রাফিক এক্সচেঞ্জ ওয়েবসাইট বা টুল ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার অবিলম্বে এটি বন্ধ করা উচিত।


ট্রাফিক এক্সচেঞ্জ আপনার সাইটের র‌্যাঙ্কিংকে খারাপভাবে প্রভাবিত করে। এজন্য Google আপনার সাইটকে কালো তালিকাভুক্ত করতে পারে।


আরও পড়ুনঃ

অনলাইনে কিভাবে ই-টিন রেজিস্ট্রেশন করবেন?


এ ছাড়া আপনি যদি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন থাকে তাহলে আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টটি নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে।


তাই আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য ট্রাফিক জেনারেটর টুল ব্যবহার করেন তাহলে এখনই এটি বন্ধ করুন।

 

শেষকথা

আমি এখানে যে কৌশলগুলো উল্লেখ করেছি সেগুলো আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়াতে 100% সাহায্য করবে। কিন্তু আপনি রাতারাতি আপনার ট্রাফিক বাড়াতে পারবেন না। এটি একটি দীর্ঘ সময়ের প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে আপনাকে একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে।


তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন, কোয়ালিটি কন্টেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি আপনার সাইটে এই কৌশলগুলি ব্যবহার করেন কিন্তু মানসম্পন্ন কন্টেন্ট তৈরীতে মনোযোগ না দেন তবে আপনার সমস্ত পরিশ্রম বৃথা যাবে। গুগল সার্চ রেজাল্টে আপনার কন্টেন্ট ভালোভাবে র‍্যাঙ্ক করবে না এবং আপনার ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক পেতে সক্ষম হবে না।


আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়াতে আপনি কোন পদ্ধতি ব্যবহার করেন? কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।


*

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন

ads

ads