রাউটার কি? জেনে নিন রাউটার এর আদ্যপান্ত (A-Z)।

   

what is router



হ্যালো! আশা করছি ভালো আছেন।

এই আর্টিকেল এ আজ আমরা রাউটার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। যেন কোন টেকনিক্যালি ধারনা না থাকলেও আপনি সহজে বুঝতে পারেন।


আজকাল আমরা প্রায় সবাই কমবেশি রাউটার ব্যবহার করে থাকি। তাছাড়া বিভিন্ন ছোট বড় কোম্পানি থেকে শুরু করে সরকারী-বেসরকারী অফিস ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সমূহ তাদের ইন্টারনেট এক্সেস করার প্রধান মাধ্যম হিসেবে রাউটার ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে রাউটার কি, এটি কিভাবে কাজ করে এবং কিভাবে ব্যবহার হয় ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর অনেকেই জানেন না।


হ্যাঁ বন্ধুরা, আজ আমরা জানার চেষ্টা করবো, 

  • রাউটার কি
  • রাউটার কি কি প্রকারের হয়ে থাকে
  • রাউটার কিভাবে কাজ করে
  • রাউটার ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা কি কি?
  • রাউটার কেন ব্যবহার করা হয় এবং 
  • রাউটার এর দাম কত
  • ভালো রাউটার কোনটি
  • পকেট রাউটার কি এবং
  • কম্পিউটার রাউটার কি ইত্যাদি

তাহলে দেরি কেন? রাউটার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 



রাউটার কি ? (What Is a Router)

রাউটার হলো এক প্রকার Electronic Inter Networking Device বা External Hardware. যা দুই বা ততোধিক কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর মধ্যে সংযোগ তৈরীর জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 


এটি LAN বা WAN এর মাধ্যমে নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত থাকে। এটি পিজিক্যাল বা ভার্চুয়াল নেটওয়ার্ক ডিভাইস হতে পারে। রাউটার একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক থেকে ডেটা প্যাকেটগুলি গ্রহণ করতে, এটি বিশ্লেষণ করতে এবং অন্য কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ফরোয়ার্ড করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।


রাউটার স্থানীয় নেটওয়ার্ক সংযোগ স্থাপনের জন্য বাড়ি এবং অফিসগুলিতে ব্যবহৃত হয়। আরও শক্তিশালী রাউটারগুলি পুরো ইন্টারনেট জুড়ে অপারেট করে, ডেটা প্যাকেটগুলি তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে সহায়তা করে।



Types of router


রাউটার এর প্রকারভেদ? – (Types Of Router)

রাউটার প্রধাণত ৩ প্রকারের হয়ে থাকে। 

  1. Broadband routers (Wired routers)
  2. Wireless routers (WiFi routers)
  3. Other Types of Routers

1. Broadband Routers

ব্রডব্যান্ড রাউটারগুলি বিভিন্ন ধরণের কাজ করতে পারে। ব্রডব্যান্ড রাউটারগুলি একাধিক কম্পিউটার সংযোগ করতে বা ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ করতে ব্যবহার করা হয়।


আপনি যদি ল্যান্ড ফোনের মাধ্যমে এবং ভয়েস ওভার আইপি প্রযুক্তি (VOIP) ব্যবহার করে ইন্টারনেটে সংযুক্ত হতে চান তবে আপনার ব্রডব্যান্ড রাউটারের প্রয়োজন হবে। এগুলি প্রায়শই একটি বিশেষ ধরণের মডেম (ADSL) হয়ে থাকে, যার মধ্যে ইথারনেট এবং ফোন জ্যাক উভয়ই থাকে।


2. Wireless Routers


এই ধরণের রাউটারগুলো, একটি নির্ধারিত বেতার সংকেত এর এলাকা তৈরি করে।

এবং, সেই নির্ধারিত এলাকার (রেঞ্জ) ভেতরে থেকে বেতার সংকেতটির সাথে এক বা একাধিক computer, mobile, laptop ইত্যাদি সংযোগ হয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। 

আর সেটাও কোনো তার (wire) ছাড়া।

নিরাপত্তার জন্য এই ধরণের ওয়াইফাই রাউটারগুলোতে password এর ব্যবহার করা হয়।

এতে, আপনার অনুমতি ব্যতিরেকে আপনার WiFi network area’র ভেতরে থাকা অন্যান্য computer বা mobile গুলো ইন্টারনেট এর সাথে যুক্ত হতে পারেনা।

বেশি রেঞ্জের রাউটার যারা খুঁজেন তাদের জন্য এ ধরনের রাউটার নেয়া ভালো।


3. অন্যান্য রাউটারগুলো আরো 5 প্রকারের হয়ে থাকে (Other Types of Routers)

Edge Routers 

এই ধরণের রাউটার আইএসপি নেটওয়ার্কের প্রান্তে স্থাপন করা হয়, যা সাধারণত বিজিপি (বর্ডার গেটওয়ে প্রোটোকল) এর মতো অন্য আইএসপি বা বৃহত সংস্থার অন্য বিজিপিতে বাহ্যিক প্রোটোকলে কনফিগার করা থাকে।

 

Subscriber Edge Routers

এই জাতীয় রাউটারটি একটি শেষ ব্যবহারকারী (enterprise) সংস্থার অন্তর্গত। এটি এর সরবরাহকারীর এএসগুলিতে (AS) বাহ্যিক বিজিপি (বর্ডার গেটওয়ে প্রোটোকল) সম্প্রচারের জন্য কনফিগার করা হয়।

 

Inter-provider Border Routers

এই জাতীয় রাউটার আন্তঃসংযোগ আইএসপিগুলির (ISPs) জন্য। 
আপনারা ISP মানে তো অবশই জানেন ? ISP মানে, “Internet service provider”.
যেমন, রবি, গ্রামীণফোন, টেলিটক, বাংলালিংক ইত্যাদি, যেগুলোর মাধ্যমে আমরা আমাদের মোবাইল বা কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করি।
এই ধরণের ISP গুলোকে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত (interconnect) করার ক্ষেত্রে, এই Inter provider border routers ব্যবহার করা হয়।
এটি একটি বিজিপি স্পিকার রাউটার যা অন্যান্য বিজিপি স্পিকার রাউটারগুলির সাথে অন্য সরবরাহকারীদের ASes এ বিজিপি সেশনগুলি বজায় রাখে।

 

Core Routers

অনেকগুলি রাউটার একসাথে জোড়ার জন্য, Core Routers ব্যবহার করা হয়। Lan network এর backbone হিসেবে যেই router কাজ করে, তাকে বলা হয় core router.
কোন বড় প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিতে, বিভিন্ন জায়গায় অনেকগুলি রাউটার ব্যবহার করা হয়। এই সকল রাউটারগুলির একত্রে সংযোগ তৈরি করার জন্য Core Routers এর ব্যবহার করা হয়।

Wired and Wireless Routers 

IP Wired and Wireless Router ব্যবহার করে Home ও ছোট অফিস নেটওয়ার্কিং দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তারযুক্ত এবং ওয়্যারলেস রাউটার তাদের রাউটিং টেবিলে রাউটিং এবং কনফিগারেশন তথ্য বজায় রাখতে সক্ষম। তারা আইপি ঠিকানার ভিত্তিতে আগত এবং বহির্গামী প্যাকেটের ট্র্যাফিক ফিল্টারিংয়ের পরিষেবাও সরবরাহ করে।


Image Credit: thestudygenius.com


রাউটার কীভাবে কাজ করে? (How Does a Router Work?)


মনে করুন রাউটার একটি এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলার এবং রাউটার এর একটি ডেটা প্যাকেট একটি বিমান। প্রতিটি বিমান যেমন একটি অনন্য গন্তব্য এবং একটি অনন্য রুট অনুসরণ করে, তেমনি প্রতিটি ডেটা প্যাকেটকে যথাসম্ভব দক্ষতার সাথে তার গন্তব্যে প্রেরন করা দরকার। কোনও এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলার একইভাবে নিশ্চিত করে যে বিমানগুলি কোনও পথে না গিয়ে বা কোনও বিঘ্নিত না হয়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছেছে, রাউটারগুলিও একই নিয়মে তাদের গন্তব্য আইপি ঠিকানায় সরাসরি ডেটা প্যাকেটগুলিকে প্রেরনে সহায়তা করে।


এটি একটি বুদ্ধিমান ডিভাইস কারণ, ডেটা প্যাকেটগুলি কার্যকরভাবে প্রেরন করার জন্য একটি রাউটার একটি অভ্যন্তরীণ রাউটিং টেবিল ব্যবহার করে (বিভিন্ন নেটওয়ার্ক গন্তব্যগুলির পাথের তালিকা হচ্ছে রাউটিং টেবিল)। 


রাউটারটি কোথায় চলেছে তা নির্ধারণের জন্য একটি প্যাকেটের শিরোনাম পড়ে, তারপরে গন্তব্যটির সবচেয়ে কার্যকরী পথটি বের করার জন্য রাউটিং টেবিলের সাথে পরামর্শ করে। এরপরে এটি প্যাকেটটিকে পরবর্তী নেটওয়ার্কে পাঠিয়ে দেয়।


routing-table
Image source: quora.com

রাউটিং টেবিল কি? (What is a Routing Table?)


এক নেটওয়ার্ক থেকে অন্য নেটওয়ার্কে ডেটা প্রেরন করার পদ্ধতিকে রাউটিং বলে। এটি একাধিক LAN, MAN এবং WAN কে যুক্ত করে WAN গঠন করতে পারে।


রাউটিং টেবিল একটি বৈদ্যুতিক নথি যা তার টেবিলে নেটওয়ার্কের তথ্য সঞ্চয় করে। 


রাউটার ডিভাইসের মেমোরিতে রাউটিং টেবিল স্টোরটি সংরক্ষিত থাকে। যা রাউটার ডেটা আদান-প্রদানের সময় সয়ংক্রিয়ভাবে তৈরী করে থাকে। রাউটার এই টেবিলটি ব্যবহার করে এবং নেটওয়ার্কের পথ নির্ধারণ করে। যখন কোনও ডেটা প্যাকেট রাউটারে আসে, এটি তার রাউটিং টেবিলটি চেক করে, যা আইপি ঠিকানা ব্যবহার করে অন্যান্য নেটওয়ার্ক রাউটার খুঁজে পেতে এবং এটি অন্য নেটওয়ার্ক রাউটারে ফরোয়ার্ড করতে সহায়তা করে।



রাউটারের সুবিধাসমূহ:

১। ডেটা ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে বাধার সম্ভাবনা কমায়।

২। ডেটা ফিল্টারিং সম্ভব হয়।

৩। বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক যেমন-ইথারনেট, টোকেন, রিং ইত্যাদিকে সংযুক্ত করতে পারে।

৪। একাধিক ডিভাইসে একসাথে সংযোগ করা যায়।


রাউটারের অসুবিধা:

১। রাউটারের দাম বেশি।

২। রাউটার ভিন্ন প্রোটোকলের নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করতে পারে না।

৩। কনফিগারেশন তুলনামূলক জটিল।


রাউটার কেন ব্যবহার করা হয়? (What is the purpose of a router?)


প্রতিটি office বা ঘরে রাউটার এর ব্যবহার কেবল একটি মাত্র উদ্দেশ্যেই করা হয়। আর সেটা হলো, “কোন একটি ISP (internet service provider) প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রহণ করা ইন্টারনেট কানেকশন, আলাদা আলাদা বিভিন্ন কম্পিউটার ডিভাইস এর মধ্যে শেয়ার করার উদ্দেশ্যে”.


ISP হতে প্রাপ্ত ইন্টারনেট (internet) একটি মডেম (modem) এর মাধ্যমে router এ গ্রহণ করা হয়।

এবং গৃহীত ইন্টারনেট ডাটা যাতে আলাদা আলাদা প্রতিটি computer, mobile বা laptop গুলোতে একসঙ্গে ব্যবহার করা যেতে পারে, এই কাজের জন্য রাউটার এর ব্যবহার করা হয়।


বাড়ী বা অফিসের বিভিন্ন device গুলো যেন একটাই মডেমের মাধ্যমে গ্রহণ করা internet সেবা একসঙ্গে গ্রহণ ও ব্যবহার করতে পারে, সেজন্য router অত্যন্ত জরুরী।



রাউটার এর দাম (Router Price in Bangladesh)


ব্যবহারকারীর চাহিদার ধরন অনুসারে রাউটার এর দাম নির্ভর করে। আপনি যদি এন্ট্রি লেভেল থেকে হাই লেভেল রাউটার এর দাম জানতে চান তাহলে এগুলির দাম 800 থেকে 10000 টাকার মধ্যে হিসাব করতে হবে। যদিও বাজারে 30/40 হাজার টাকার মূ্ল্যের রাউটারও পাওয়া যায়। 


বর্তমানে আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে বা স্থানীয় কোন কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এর দোকান থেকে রাউটার কিনতে পারেন।


ভালো রাউটার কোনটি (Best Router In Bangladesh)


বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির ভিন্ন ভিন্ন মডেলের মধ্যে আপনি কোন কোম্পানির রাউটার কিনবেন? আমাদের দেশের বাজারে বেশ ভালো কিছু জনপ্রিয় রাউটার কোম্পানি মধ্যে NETGEAR, TP-Link, ASUS, Xiaomi, netis, Tenda ইত্যাদি। এদের প্রত্যেকেরই দামের প্রকারভেদ অনুসারে বিভিন্ন মডেল আছে।


তাহলে আপনার জন্য ভালো রাউটার কোনটি হতে পারে?


প্রকৃতপক্ষে প্রতিটি কোম্পানি চেষ্টা থাকে তাদের গ্রাহকদের চাহিদা স্বল্প ব্যয়ের মধ্যে যেন পূরন করা যায়। সেজন্য প্রায় প্রত্যেক কোম্পানির রাউটার 800 টাকার কাছাকাছি দামের থেকে শুরু করে 30/40 হাজার টাকার দামের রাউটার বাজারে পেয়ে থাকি। এর মধ্যে TP-Link একটু User Friendly মনে হয় আমার কাছে। তাই আমি TP-Link এবং NETGEAR বেশি সাজেস্ট করবো। আবার যদি Xiaomi কিনতে চান তবে অবশ্যই গ্লোবাল টা কেনার চেষ্টা করবেন। কারন এদের এরিয়া ভিত্তিক ভার্সন থাকে।


কোন কোম্পানির রাউটার ভাল


আপনি যদি একজন সাধারন ব্যবহারকারী হন তাহলে নিম্নোক্ত বর্ননানুযায়ী TP-Link, Tenda, netis এর রাউটার নিতে পারেন। 


আপনি যদি গেমার হন তবে NETGEAR, ASUS, TP-Link এর রাউটার নিতে পারেন।


ব্যবহারকারীর সংখ্যা এবং ব্যবহারের ধরন অনুযায়ী রাউটার কেনা উচিত বলে আমি মনে করি। 

যেমন, 2-4 জন ব্যবহারকারী এবং 1-2 টি রুমের ঘরের জন্য 800 থেকে 1200 টাকার যে রাউটারগুলো পাওয়া যায় সেগুলোই যথেষ্ট। 


আবার, 5-8 জন ব্যবহারকারী ও 3-4টি রুমের ঘরের জন্য আরেকটু ভালো ফিচারযুক্ত রাউটার যেগুলো 1500 থেকে 2000 টাকার মধ্যে পাওয়া যায় সেগুলো কিনতে পারেন।


কিন্তু আপনার বাসায় যদি 7-8টি রুমে কাভার করার প্রয়োজন হয় তবে আপনাকে Wifi Range Extender/ Amplifire / Repeater এর প্রয়োজন হবে। এ রিপিটারগুলো 800 থেকে 4000 টাকা দামের হয়ে থাকে।


আর আপনি যদি হেভী গেমার হয়ে থাকেন তবে আপনি শুধুমাত্র একজন ব্যবহারকারী হয়েও উপরে বর্ননা করা রাউটারগুলো দিয়ে সুবিধা করতে পারবে না। অর্থাৎ গেমার হলে আপনাকে অবশ্যই গেমিং সাপোর্ট রাউটার নিতে হবে। 


যদিও অনেকে মাঝারি মানের রাউটার দিয়ে গেম খেলে থাকে। তবুও আমার সাজেস্ট থাকবে 3500 থেকে 10000 টাকার মধ্যে যে রাউটারগুলো পাওয়া যায় সেগুলো হতে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী যে কোন একটি বেছে নেয়া। এতে নেট স্পিড এবং ল্যাটেন্সি এর মান ভালো পাবেন।



Image Credit: huawei.com



পকেট রাউটার (Pocket Router)



পকেট রাউটার হলো একটি ছোট গ্যাজেট যা আপনার হাতের তালুতে লুকানো সম্ভব এবং এটি খুব হালকা। এর কাজ হলো স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ক্যামেরা বা ব্যক্তিগত কম্পিউটারের মতো চারপাশে যে সকল wifi সাপোর্টেড ডিভাইস আছে সে সকল ডিভাইসে ইন্টারনেট সম্প্রচার করা। 


অর্থাৎ পকেট রাউটার হলো ব্যাটারি চালিত ছোট একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস। যার  সাহায্যে  সহজেই যেকোনো সিম কার্ড ব্যবহার করে আপনি একাধিক ডিভাইস এ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। সাইজে ছোট হওয়ার কারনে এই রাউটারটিকে পকেটে করে যেকোন জায়গায় নেওয়া এবং ব্যবহার করা যায়। সেজন্য এ রাউটারগুলোকে ট্রাভেল রাউটারও (travel router) বলা হয়।


যেহেতু এটি মোবাইল এর সিম এর সাহায্যে চলে তাই এটি মোবাইল এর মতো করে চার্জ করতে হয়। পকেট ওয়াইফাই ডিভাইসটি ছোট  হলেও এর কার্যকারিতা কারো থেকে কম নয়।  একটি ভালো মানের পকেট রাউটার ৩০ থেকে ৫০ ফুট ব্যাসার্ধের মধ্যে, একসাথে ১০ বা তারও অধিক ডিভাইস সংযুক্ত করতে পারে। 


কম্পিউটার রাউটার


যখন কম্পিউটারের মধ্যে নেটওয়ার্ক সংযোগ দেওয়ার জন্য রাউটার ব্যবহার করা হয় তখন তাকে কম্পিউটার রাউটার বলে। Broadband Router এবং Wireless Router, কম্পিউটার রাউটার এর অন্তর্গত।


শেষ কথা


আশাকরি উপরে দেওয়া ইনফর্মেশন থেকে রাউটার কি, রাউটার কত প্রকারের হয়, রাউটার কিভাবে কাজ করে, রাউটার কেন ব্যবহার করা হয়, রাউটার এর দাম কত, ভালো রাউটার কোনটি, পকেট রাউটার কি এবং কম্পিউটার রাউটার কি এই সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। যদি রাউটার সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আমরা কমেন্টের মাধ্যমে আপনাকে সাহায্য করার চেষ্টা করব।




*

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন

ads

ads